বুদ্ধের জীবন ও বাণী কর্ম নিয়ে বুদ্ধের বাণী গৌতম বুদ্ধের বাল্যনাম কি ছিল?

 Part 2

বুদ্ধের জীবন ও ঘটনাবলি নির্ভর পাল পুথিচিত্রের গড়ন ও আকার ক্ষুদ্র হলেও তাদের বৈশিষ্ট্য ক্ষুদ্র চিত্র বা মিনিয়েচার
পেইন্টিং-এর মতাে নয়। বরং অজন্তা গুহাচিত্রের বৃহৎ-এর ধারণাই যেন সেখানে বেশি স্পষ্ট। পাল রাজত্বের সময়ে ব্রাম্মণ্য
ধর্মের পুনর্জাগরণের ফলে সমস্ত ভারতবর্ষ থেকেই ধীরে ধীরে অপসৃত হচ্ছিল বৌদ্ধধর্ম। পালরাজারা মহাযানপন্থী বৌদ্ধ
হওয়া সত্ত্বেও পরমতসহিষু ছিলেন। ফলত যে সময় বৌদ্ধভাষ্কর্য ছাড়াও বিভিন্ন মূর্তিও তৈরি হয়েছে। পাথর ও ধাতুর ভাস্কর্য
রচনার ক্ষেত্রে পালযুগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পালযুগের ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে ধর্মীয় চেতনার পাশাপাশিই
লক্ষ করা যায় এক ধরনের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা।
তবে পুথিচিত্রের যে বিশিষ্ট ধারাটির জন্য পালযুগ বাংলার শিল্পইতিহাসে বিশেষভাবে স্মরণযােগ্য, সেই ধারাটি ক্রমশই
দুর্বল হয়ে পড়ে একাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগ থেকে। এর কারণ হল বৌদ্ধ ধর্মের প্রাধান্যের ক্রমঅবসান। ত্রয়ােদশ শতকের
সূচনায় তুর্কি আক্রমণের ফলে সাময়িকভাবে বাংলার মূর্তি ও চিত্রকলার অনুশীলন বিলুপ্ত হয়ে যায়। চতুর্দশ শতকের শেষ বা
পঞ্চম শতকের শুরুতে সুলতানদের দরবারে নতুন এক ধারার অনুচিত্র অনুশীলন শুরু হয়। এই রীতির উৎস হল পশ্চিম ও
মধ্য এশিয়ার অনুসৃত পার্সিক বা ইরানীয় পাণ্ডুলিপি চিত্রকলা। নসরৎ শাহের দরবারে পার্সিক চিত্রশিল্পের এই ধারা এসে
পৌছেছিল। নিজামি রচিত “ইসকন্দর নামা’ গৌড়ের সুলতান নসরৎ শাহের জন্য ১৫৩১-৩২ খ্রিঃ-এ হামিদ খান কপি
করেছিলেন। এই পাণ্ডুলিপি ছবিগুলিতে পার্সিক চিত্রকলার এক সুপরিণত ঐতিহ্য লক্ষ করা যায়।
কোরানের পাতাকে উজ্জ্বল রঙে সজ্জিত করার মধ্য দিয়ে এক ধরনের চিত্রকলার বিকাশ এ সময়ে লক্ষ করা যায়।

0 Response to "বুদ্ধের জীবন ও বাণী কর্ম নিয়ে বুদ্ধের বাণী গৌতম বুদ্ধের বাল্যনাম কি ছিল?"

Post a Comment